পাকিস্তানে অস্ত্রোপচার স্থগিত করোনায় আক্রান্তদের অক্সিজেন সরবরাহে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অনবরত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পাকিস্তানের হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রোগীদের পূর্ব নির্ধারিত অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’র (এএনআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জিও নিউজের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করোনা মোকাবিলায় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাকিস্তানের সিডিএ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউড অব রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন, দ্য গভর্নমেন্ট সার্ভিসেস হসপিটাল, দ্য পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস এবং দ্য পলিক্লিনিকে পূর্ব নির্ধারিত সকল অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’
দ্য পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ১৫১ জন ভর্তি রয়েছেন। ১১ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এ ছাড়া আরও সাতজনকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।
দ্য পলিক্লিনিকের সকল ভেন্টিলেটর পরিপূর্ণ। হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে ২৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিডিএ হসপিটালের করোনা ওয়ার্ডে ৪২ জনের চিকিৎসা চলছে। দ্য গভর্নমেন্ট সার্ভিসেস হসপিটালে ১৫ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে।এ ছাড়া পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশেও হাসপাতালগুলোতে বাছাই করে অস্ত্রোপচার স্থগিত করেছে। সিন্ধু প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র মুর্তজা ওয়াহাব টুইটারে বলেন, ‘পূর্ব সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ টুইটারে তিনি লিখেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাছাই করে কিছু অস্ত্রোপচার স্থগিত করেছে সিন্ধু সরকার। তবে জরুরি অস্ত্রোপচারগুলো চলবে।’ হ্যাশট্যাগে তিনি লিখেন, ‘সেভ অক্সিজেন’।
এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বুধবার বলেন, ‘যদি পাকিস্তানে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে যায়, তবে ইরান ও চীন থেকে অক্সিজেন আমদানি করা হবে। বিমানে অক্সিজেন নিয়ে আসা যেহেতু সম্ভব নয়, এ কারণে অন্য দেশ থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসা কিছুটা কঠিন হবে।’তিনি বলেন, ‘অক্সিজেন সড়ক পরিবহনেই আনা-নেওয়া করতে হয়। যদিও পাকিস্তান একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত ৫ হাজার রোগীরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশটিতে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর কিছুদিন পূর্বে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে।