
কপ টুয়েন্টি সেভেন সম্মেলনে ঘোষিত জলবায়ু ক্ষতিপূরণ তহবিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। বিশ্লেষকরা বলছেন, তহবিলের অর্থ সংগ্রহ কিংবা কোন দেশ কি পরিমাণ অর্থ দেবে সে বিষয়ে নেয়া হয়নি কোনো স্পষ্ট নীতিমালা। লস অ্যান্ড ড্যামেজ চুক্তি আসলে কী, চুক্তির আওতায় ধনী দেশগুলোর মধ্যে কে, কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেবে সেসব বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি কিছুই। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ কিভাবে বন্টন করা হবে সে বিষয়েও আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত। ধারণা করা হচ্ছে, এসব বিতর্ক শেষে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পেতে লেগে যেতে পারে আরও কয়েক বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার। অথচ সম্মেলনে এর ব্যবহার বন্ধে কোনো সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ধারকাজ ও পুনর্গঠনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে এমন ঘোষণা দেয়া হলেও, আপত্তি জানিয়েছে ক্ষতির শিকার দেশগুলো। ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর পাশাপাশি পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী সংস্থাগুলোর দাবি উন্নত দেশগুলো ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দেবে। তবে দায় এড়াতে এই দাবি অস্বীকার করে আসছে উন্নত দেশগুলো। গেল জুনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫টি দেশের যৌথ হিসাব প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয়, দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনে এসব দেশগুলোর মোট ক্ষতি হয়েছে ৫২ হাজার কোটি ডলারের বেশি।