কোভিড-১৯বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা) অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৩০ জন। তার আগের দুই দিন এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩২ ও ২৫।

বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৬০৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ছিল ১ হাজার ২৭২ জন।

নতুন শনাক্তদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭।

সর্বশেষ করোনায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এঁদের মধ্যে ঢাকায় মারা গেছেন ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, খুলনা ও সিলেটে ২ জন করে এবং রংপুর ও ময়মনসিংহে একজন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৪ জনই ষাটোর্ধ্ব।

নতুন ৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ২৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০৮ জন। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৩। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

এ বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের উপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধি–নিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধি-নিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।

তবে ঈদ ঘিরে শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং লাখ লাখ মানুষের শহর থেকে গ্রামে যাওয়া ও ফিরতি যাত্রায় আবার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সম্পর্কিত নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button