তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকিতে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র: চীন

তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে চীন। ওই প্রণালিতে আবারও মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর এক দিন পর আজ বুধবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।
সম্প্রতি চীন ও প্রতিবেশী তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে কয়েক গুণ। তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে একাধিকবার যুদ্ধবিমানের বহর ওড়ানোর অভিযোগও উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তাইওয়ানে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে চীন ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ান প্রণালি গুরুত্বপূর্ণ নৌ–এলাকায় পরিণত হয়েছে। এই প্রণালি বিভক্ত করেছে চীন ও তাইওয়ানকে।যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে গতকাল মঙ্গলবার মিসাইল গাইডেড ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কার্টিস উইলবার তাইওয়ান প্রণালিতে রুটিন অভিযান চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিশ্বের যেকোনো স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী আকাশ ও নৌ–অভিযান অব্যাহত রাখবে।বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষ দুই ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে উত্তেজনার বৃদ্ধির মধ্যে চীনের আশপাশের এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর খবর এল। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।চীনের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের একজন মুখপাত্র তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিন্দা জানিয়েছেন।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে বিরাজমান শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতি করবে। মার্কিন ওই যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত ও এর গতিবিধি চীনের বাহিনী নজরদারি করে বলে জানান তিনি।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রণালির দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ। সেই সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এ রকম অভিযান প্রায় প্রতি মাসেই চালায়।
তাইওয়ানের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তাইওয়ানের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং দেশটির কাছে প্রধান অস্ত্রবিক্রেতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র।