এশিয়াকোভিড-১৯ভারত

ভারতে আক্রান্ত ৮ হাজার ৮৪৮ জন ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’

ভারতে আচমকাই কোভিডের দোসর হয়ে নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামক এক ছত্রাক, যার পোশাকি নাম ‘মিউকরমাইকোসিস’। মাত্র দুই দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করে সব রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে।

কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যেই এই রোগে প্রাণহানির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এই রোগ প্রতিরোধে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি হয়েছে।ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক–জাতীয় এক রোগ, যা প্রধানত কোভিড রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মাত্রা ছাড়া স্টেরয়েড নিলে, বেশি দিন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলে অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শাকসবজি, মাটি, ফল, একই মাস্ক প্রতিদিন পরা থেকে এই রোগ ছড়ায় বলে সতর্ক করা হয়েছে।

উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, রক্তবমি ইত্যাদি।

ভারতের সার ও রসায়নমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, সারা দেশে এই মুহূর্তে মোট ৮ হাজার ৮৪৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত।আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গুজরাটে—২ হাজার ২৮১ জন। তার পরেই স্থান মহারাষ্ট্রের—২ হাজার। এ ছাড়া রোগীর সংখ্যা বেশি অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানায়। এই রোগের ওষুধ ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি’ জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

কোভিডের মোকাবিলায় যেসব ওষুধ প্রয়োজনীয়, সারা দেশেই তার আকাল দেখা দিয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি রয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি। ওষুধের কালোবাজারির অভিযোগ সর্বত্র। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি পেতেও শুরু হয়েছে হাহাকার।কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে অবিলম্বে এই দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই গতকাল শুক্রবার এই নতুন বিপদ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করে দেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, ইতিমধ্যেই অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ তৈরির জন্য পাঁচ সংস্থাকে নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button