
চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করছে পাকিস্তান। চলতি মাসের প্রথম দিকে টিকা তৈরির কাঁচামাল ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর টিকা উৎপাদন শুরু হয়।
এই নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, চীনের ক্যানসিনো বায়ো ইনকরপোরেশনের উদ্ভাবিত এক ডোজের টিকাটি পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার (এনআইএইচ) কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে। এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাক-ভ্যাক’। পাকিস্তানে করোনার টিকা চাহিদা মোকাবিলায় এই উদ্যোগ ব্যাপক কাজে দেবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ইতিমধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার পাক-ভ্যাক টিকা তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশটির নাগরিকদের এই টিকা দেওয়া শুরু হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ মান যথাযথভাবে অনুসরণ ও পরীক্ষা করেই টিকাটি তৈরি করা হয়েছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসক ফয়সাল সুলতান বলেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ১ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাঁদের। এই টিকা দেশের চাহিদা পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ক্যানসিনো বায়ো ইনকরপোরেশনের সহযোগিতায় সফলভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারায় এনআইএইচ ও এর নেতৃত্বকে টুইট করে অভিনন্দন জানান ফয়সাল।পাকিস্তান সরকার নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলেও টিকা উৎপাদন শুরুর তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, দেশীয়ভাবে উৎপাদিত করোনার এই টিকা অন্য দেশের ওপর পাকিস্তানের নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে কমাবে।
গত মাসে এনআইএইচের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মে মাস থেকে পাকিস্তানেই ক্যানসিনো বায়ো ইনকরপোরেশনের করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন শুরু করবেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম দিকে টিকা তৈরির কাঁচামাল পৌঁছায় পাকিস্তানে। প্রতিবেশী ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা উৎপাদিত হচ্ছে। এবার পাকিস্তানে টিকা তৈরি শুরু হলো।