
শেষটা সুন্দর হলো না বাংলাদেশের
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জেতা বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রাধান্য ধরে রাখতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে বোলাররা আগের দুই ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। শুধু তাসকিন আহমেদই আলো ছড়িয়েছেন। স্পিনারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পাননি তিনি। শ্রীলঙ্কাও ২৮৬ রান তুলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল।
সে চ্যালেঞ্জের জবাব বাংলাদেশ দিতে পারবে-সেটা কখনোই মনে হয়নি। টানা ব্যর্থতার দায় নিয়ে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন লিটন দাস। পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম (১)। দ্বিতীয় ওভারে পাওয়া ধাক্কা একটু পরই দ্বিগুন করে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (৪)।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তামিমকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন দারুণ বল করা দুশ্মন্ত চামিরা। বাংলাদেশের প্রথম তিন উইকেটই নিয়েছেন এই পেসার। এই ধাক্কা আর সামলানো সম্ভব হয়নি। দলকে প্রথম দুই ম্যাচ জেতানো মুশফিক (৫৪ বলে ২৮) ধীরে শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। পাঁচ ও ছয়ে নামা মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ ফিফটি পেয়েছেন বটে কিন্তু দলকে কখনোই জয়ের আশা দেখাতে পারেননি।
৯ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়ে ম্যাচের গতিরূপ ঠিক করে দিয়েছেন চামিরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কান কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং এটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা পেয়েছেন ২ উইকেট। দুই অভিষিক্ত রমেশ মেন্ডিস (২) ও বিনুরা ফার্নান্দো (১) নিয়েছেন বাকি উইকেটগুলো।
ফিফটির পরের বলেই আউট মাহমুদউল্লাহ
৬৩ বলে ৫৩ রান করেই থেমে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ৪৫ বল বাকি থাকতে অলআউট বাংলাদেশ। ১৮৯ রানে গুটিয়ে ৯৭ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করা হলো না বাংলাদেশের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
সিরিজে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ২৫তম ওয়ানডে ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৬২ বলে ফিফটি করার পথে দুই চার ও এক ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটসম্যান।