
ভারতের মহারাষ্ট্রে মে মাসে রেকর্ডসংখ্যক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউ এলে তা শিশুদের জন্য আরও ভয়াবহ হতে পারে।
রাজ্যে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আরোগ্য বিভাগের তথ্যমতে, ১ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১০ বছর বয়সী ৩৪ হাজার ৪৮৬ শিশুর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১ মে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৬। আর ২৬ মে এই সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। ১ মে ১১ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত ৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছিল। ২৬ মে এই বয়সসীমায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৬তে।
ভারতের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ সুনীল জুনাগড়ের বলেন, বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুদের প্রাণের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। সুতরাং শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে অভিভাবকদের চিন্তার কারণ নেই। তিনি বলেন, জন্মের পরপরই শিশুদের টিকাকরণ করা হয়, তাই তারা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকে। লকডাউনের কারণে শিশুরা বাড়িতে থেকেছে, আর বাইরের খাবার না খাওয়ার ফলে তাদের প্রতিরোধক্ষমতা আরও বেড়েছে।তবে ১৮ বছরের নিচের শিশুরা এখনই টিকা পাবে না বলে তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা একটু বেশি। তাই শিশুদের চিকিৎসাব্যবস্থাজনিত আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। শিশুদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সরকার ‘শিশু কোভিড সেন্টার’ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। আর শিশুদের চিকিৎসার জন্য ‘শিশু চিকিৎসা টাস্কফোর্স’ গঠন করতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য শিশুদের বিশেষ দেখভালের প্রয়োজন। শিশুদের ভাইরাল ইনফেকশন, সর্দি-জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ছাড়া দুধ আর খাবার না খাওয়া লক্ষণের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।