এশিয়া

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫–তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ঘোটকির এসএসপি ওমর তোফায়েল। অন্যদিকে সুক্কুরে ইদহি সেন্টারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ উরস মাগসি ও গোল মাহার ডন ডটকমকে বলেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ হয়েছে।

গতকাল সোমবার ঘোটকির রাইতি ও ডাকারকি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি করাচি থেকে সারগোধা যাচ্ছিল। ট্রেনটি রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘোটকি জেলায় রাইতি ও দাহারকি স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় পৌঁছালে ট্রেনের আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ডাউন ট্র্যাকে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিট পরেই রাওয়ালপিন্ডি থেকে বিপরীতমুখী স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পড়ে যাওয়া বগিগুলোর সঙ্গে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়। দুটি ট্রেনে ১ হাজার ২০০–এর মতো যাত্রী ছিলেন। এরপরই রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ওমর তোফায়েল বলেন, একটি ইঞ্জিনের নিচে চাপা পড়া বগি থেকে আজ মঙ্গলবার আরও ১০–১২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা একটি বিয়েতে যাচ্ছিলেন।

মাগসি ও মাহার বলেন, ইদহি ফাউন্ডেশন থেকে বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতদের নিজ নিজ শহরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আবার বেশ কয়েবটি লাশ রহিম ইয়া খান হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই করাচি, লোধরান, রাওয়ালপিন্ডি ও ভেহারির বাসিন্দা।

সুক্কুরের ডিএসপি তারিক লতিফ বলেন, ট্রেনের ইঞ্জিন ও ১৭টি কোচের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে এই রুটে ৩০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আপ ট্র্যাকে সকাল ১০টায় ও ডাউন ট্র্যাকে দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে ট্রেন চলাচল আবার চালু হয়

তবে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিগামী অনেক ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। করাচিতে পাকিস্তান রেলওয়ের বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘কারিগরি’ কারণে আজকের জন্য ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। তবে যেসব যাত্রীর টিকিট কাটা ছিল, তাঁদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

রেলওয়ের একজন মুখপাত্র পাকিস্তানের রেলওয়ে নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, রেল দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার ১৫ লাখ রুপি করে ও আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ রুপি পর্যন্ত সহায়তা দেবে কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button