
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর কোভিড-১৯–এর টিকা পরীক্ষা করতে যাচ্ছে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার। টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় শিশুদের ওপর স্বল্পমাত্রার ডোজ প্রয়োগ করার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড ও স্পেনের ৯০টির বেশি ক্লিনিকে সাড়ে চার হাজার শিশুকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকাটি দেওয়া হবে
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে এ টিকার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাতে ১৪৪টি শিশুর ওপর দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়। এতে শিশুর ওপর টিকা প্রয়োগে এর নিরাপত্তা, সহনশীলতা ও প্রতিরোধসক্ষমতা দেখা হয়। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে ফাইজার বলছে, এখন তারা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ওপর ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ এবং ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুর ওপর তিন মাইক্রোগ্রামের ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
ফাইজারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুর ওপর টিকা প্রয়োগের ফলাফল সেপ্টেম্বর নাগাদ জানতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে এ বিষয়ে জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। এর পরপরই ২ থেকে ৫ বছর বয়সীদের তথ্য হাতে আসতে পারে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস নাগাদ ছয় মাস থেকে দুই বছরের শিশুদের টিকা প্রয়োগের ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেক উদ্ভাবিত কোভিড-১৯–এর টিকা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে ১২ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের দেওয়ার জন্য জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সমান ডোজ অর্থাৎ ৩০ মাইক্রোগ্রাম টিকা পাচ্ছে।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ কিশোর-কিশোরী অন্তত এক ডোজ ফাইজারের টিকা পেয়েছে।
শিশু ও তরুণদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি হার্ড ইমিউনিটি অর্জন ও কোভিড-১৯ মহামারি রোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৪৮ লাখ ২ হাজার ৭৮৭ পেরিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৬ জন মানুষ।