ভারত

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন অ্যান্টিবডি, ১২ ঘণ্টায় সুস্থ ২ রোগী

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি ব্যবহারে দারুণ ফল পেয়েছেন ভারতের চিকিৎসকেরা। করোনার উপসর্গের প্রথম সাত দিনের মধ্যে দুই রোগীর শরীরে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে নতুন ওই অ্যান্টিবডি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। থেরাপি নেওয়া দুজনের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। তবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অন্যজনের নাম আর কে রাজদান। তাঁর বয়স ৮০ বছর। তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।

হাসপাতালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড জ্বর, কাশি, দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ওই স্বাস্থ্যকর্মী। উপসর্গ দেখা দেওয়ার ষষ্ঠ দিনে তাঁর শরীরে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যান্টিবডি দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয় এবং হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাত্রপত্র দেওয়া হয়।

অপর রোগী আর কে রাজদানের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্রচণ্ড জ্বর ও কাশি ছিল। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৫ শতাংশের বেশি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর অবস্থা মাঝারি পর্যায়ে। উপসর্গের পঞ্চম দিনে তাঁকেও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়। পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং হাসপাতাল থেকে তিনিও ছাড়পত্র পান।

স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট পূজা খোসলা বলেছেন, উপযুক্ত সময়ের মধ্যে রোগীর দেহে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হলে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল পাওয়া পেতে পারে। অন্য রোগে উচ্চঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ অবস্থা থেকে রক্ষা করতে পারে এই অ্যান্টিবডি। পাশাপাশি রোগের অবনতিও রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া এটা করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েড ও ইমিউনোমডিউলেশন ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে করোনা রোগীদের শরীরে স্টেরয়েড ব্যবহারে ভারতে ফাঙ্গাসের মতো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button