৫২৯ বাংলাদেশি এক মাসে উদ্ধার

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গতকাল রোববার বলেন, গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ১৬৪ জনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। এর আগে মে মাসে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের বড় অংশের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়া গিয়ে কথা বলেছেন। ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ এবং আইওএম, আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
জানতে চাইলে গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির গতকাল ত্রিপোলি থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর ওই ২২১ জন বাংলাদেশির জন্য তিউনিসিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জারজিস, মেদনিন, জারবাহ, স্ফ্যাক্স ও মাহদিয়া শহরে প্রাথমিক শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ করে এখন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইওএম কর্তৃক পরিচালিত শেল্টার হাউসে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে যাঁরা দেশে ফিরতে আগ্রহী, তাঁদের আইওএমের সহযোগিতায় দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যানুসারে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৮১৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। মানব পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৬০ জন বাংলাদেশি গত মে মাসে আইওএমের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটির সহায়তায় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ২ হাজার ৯০০ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।