আগামী বছর নয়, এখনই টিকা দরকার : তেদরোস

গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। আগামী বছর নয়, এখনই টিকা দরকার।’
বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে টিকাদানের হার বেশি হওয়ায় সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কিন্তু বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে টিকার সংকট রয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ৭৩ ভাগ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে, সেখানে দরিদ্র দেশগুলোতে এখনো এক ভাগও টিকা পায়নি।
জি-৭ যেসব টিকা দান করবে, তার বেশির ভাগই দেওয়া হবে কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হলো কোভ্যাক্স। এটি গঠন করা হয়েছিল যাতে বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করা যায়। এখন পর্যন্ত কোভ্যাক্সের অধীনে ১৩১টি দেশে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, যা ধারণার তুলনায় অপ্রতুল।
লক্ষ্য ৭০ শতাংশ
আগামী বছরে জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জি-৭ সম্মেলনের আগেই বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তেদরোস বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন ১ হাজার ১০০ কোটি ডোজ টিকা। জি-৭ ও জি-২০ জোট একা সম্ভব করতে পারে।
দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জি-৭ নেতাদের টিকাবৈষম্য দূর করতে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ছোট পদক্ষেপ
মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে মাত্র ১০০ কোটি ডোজ দেওয়ার ঘোষণার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা ইউএনওসিএইচএর প্রধান মার্ক লোকক। তিনি বলেছেন, আগামী বছর পর্যন্ত এই ১০০ কোটি ডোজ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে, তা ‘ছোট পদক্ষেপ’।
জি-৭-এর গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন লোকক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় গরিব দেশগুলোর জন্য বিক্ষিপ্ত, ছোট আকারে এবং যেসব দাতব্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মধ্য দিয়ে মহামারি বিদায় নেবে না।