তিক্ততা উসকে দিচ্ছে ন্যাটো : চীন

ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ন্যাটো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন। ৭২ বছরের পুরোনো জোটে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দেন বাইডেন।বিবিসি জানায়, এবারই প্রথম ন্যাটো তাদের এজেন্ডার কেন্দ্রে চীনকে রাখে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে চায়নিজ মিশন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাতে ন্যাটোকে যুক্তিযুক্তভাবে চীনের উন্নয়ন দেখতে বলা হয়েছে। চীনের হুমকি তত্ত্বকে নানাভাবে অতিরঞ্জিত করে প্রচার বন্ধের পাশাপাশি গোষ্ঠী রাজনীতিতে কারসাজির অজুহাত হিসেবে চীনের বৈধ স্বার্থ এবং আইনি অধিকারকে ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা এবং সামরিক আধুনিকায়ন ন্যায়সংগত, যুক্তিযুক্ত, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ।’
চীনের প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটোর অভিযোগগুলো চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপবাদ, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকার ভুল বিচার, স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ও তাদের কাজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মানসিকতা।
এর আগে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্কতা জারি করে বলেন, চীন সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ন্যাটোর নিকটবর্তী হতে চলেছে। তিনি বলেন, ন্যাটো জোট চীনের সঙ্গে নতুন কোনো স্নায়ুযুদ্ধ চায় না।