
জান্তা সরকার সু চির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে। অভিযোগের তালিকায় অবৈধ উপায়ে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহার, ঘুষ হিসেবে সোনা ও অর্থ গ্রহণ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভঙ্গসহ আরও নানা বিষয় রয়েছে।আজ মিয়ানমারের রাজধানী নাপোদির একটি বিশেষ আদালতে শুনানি চলাকালে কড়া নিরাপত্তা আরোপ করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সেখানে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এর পর পরই আটক হন সু চি (৭৫)। তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। জান্তা সরকার অজ্ঞাত স্থান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সু চিকে আদালতের কার্যক্রমে যুক্ত করে। তবে সাধারণের সঙ্গে আলাপ কিংবা নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানানোর সুযোগ নেই তাতে।
মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল জয় পায়। নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা অভিমত দেয়। তবে এই নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ আনে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ নাকচ করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন।