
গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা দেশের সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে যেসব রাজ্য লকডাউনের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে, সেসব রাজ্য যেন সরেজমিনে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, কোনো ছোট অঞ্চল বা এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সেই সব এলাকাকে স্থানীয় প্রশাসন কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে বিবেচনা করে করোনা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
গতকাল রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, এখন মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে হাওড়া। এরপর রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে কলকাতায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছে। আর বাকি জেলাগুলোতে করোনা যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এখন পর্যন্ত রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে কলকাতার পাশের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। আর সর্বনিম্নে রয়েছে পুরুলিয়া জেলা। রাজ্য সচিবালয় আরও বলেছে, কোন এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্টের জোনের আওতায় নেওয়া হবে, তা ঠিক করবে প্রতিটি জেলার স্থানীয় প্রশাসন।