
নন্দন নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্তানের মানবিক সংকট শুধু ত্রাণ সংস্থাগুলো সামাল দিতে পারবে না তাই নতুন তালেবান সরকারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস।
অগাস্টে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতন ও তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন গুরুতর সংকটের মুখে আফগানিস্তান।অগাস্টের পর থেকে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি) আফগানিস্তানে তাদের মানবিক উদ্যোগ বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক রবার্ট মারদিনি। এ সময় অন্যান্য সংস্থাও তাদের তৎপরতার বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের মূল পরিষেবাগুলো বজায় রাখার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তালেবান সরকারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তারা সতর্কতা অবলম্বন করে চলছে।
“মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সম্মিলিত শক্তি শুধু সাময়িক সমাধানই দিতে পারে,” বলেন তিনি।
সরাসরি আফগানদের নগদ অর্থ সহায়তা দিতে তারা একটি তহবিল গঠন করেছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ; এই তহবিল তিন মাসের জন্য সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে বলে মারদিনি মনে করছেন।
“আফগানিস্তানে একটি জটিল সংকটে আছে যা দিন দিন আরও নাজুক হচ্ছে,” বলেন তিনি।
দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাতের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারী যুক্ত হয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।আফগানিস্তানের তিন কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এবং দেশটির এক কোটি ৮০ লাখ লোকের মানবিক সহায়তা বা সুরক্ষা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মারদিনি।
“কোনো মানবাধিকার সংস্থা দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বা এর ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না,” বলেন মারদিনি।তালেবান ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে বহু বিদেশি ত্রাণ সংস্থাকে বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু এবার তারা বিদেশি দাতাদের স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এসব সংস্থার কর্মীদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে তারা। তবে তারা কোনো শর্তের অধীনে থাকবে না বলে জানিয়েছে।
তবে ইতোমধ্যেই অধিকারের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্যে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকার না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।