রাশিয়ায় অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

নন্দন নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছে রাশিয়া। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার স্যাটেলাইট- বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ‘বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’। কেননা এতে মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে গিয়ে নিজেদের একটি স্যাটেলাইট উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এতে সেখানে বর্জ্য তৈরি হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে। ক্রুদের মধ্যে চারজন আমেরিকান, একজন জার্মানি এবং দুইজন রাশিয়ান। এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রেইস বলেন, ‘আজ রাশিয়ান ফেডারেশন বেপরোয়াভাবে তাদের একটি স্যাটেলাইটকে লক্ষ্য করে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাদের মিসাইল পরীক্ষার কারণে মহাকাশের কক্ষপথে ১৫০০ টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া আরও হাজার হাজার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি হয়েছে। যা সকলের স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরুপ’। নেড আরও বলেন, ‘মহাকাশের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে রাশিয়ার বিপজ্জনক এবং দায়িতজ্ঞানহীন আচরণ দিয়ে বিপন্ন করে তুলেছে’। রাশিয়ার এমন কাজের জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র তার সকল মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করবে। তবে মার্কিনের এমন আশংকাকে পাত্তা দেয়নি রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা টুইট বার্তায় বলেছে, রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হওয়ার পর যেসব বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলোর দ্বারা অন্য কিছুর কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ধ্বংস হওয়ার স্থানটি দেখে মনে হয়েছে, মিসাইলের আঘাতে রাশিয়ার কসমস – ১৪০৮ স্যাটেলাইট ভেঙ্গে গেছে। এটি ১৯৮২ সালে গুপ্তচর স্যাটেলাইট হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটির ওজন এক টনের মতো এবং অনেক আগেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে যায়। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারত অন্যতম।