পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী ও পোলিশ বাহিনীর সংঘর্ষ

নন্দন নিউজ ডেস্ক: টানা কয়েকদিন ধরেই বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে অপেক্ষা করছেন বহু অভিবাসী। চেষ্টা করে যাচ্ছেন পোল্যান্ডে প্রবেশ করার জন্য। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিবাসনপ্রত্যাসী এবং পোলিশ বাহিনীর মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাসীদের প্রতিহত করার জন্য টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পোলিশ বাহিনী। ফলে নিজেদের আত্মরক্ষায় পালটা পাথর ছুড়তে শুরু করেন অভিবাসীরা। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) পোলিশ বাহিনী এবং অভিবাসীদের মাঝে সংঘর্ষের এই ঘটনাটি ঘটে। পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের তথ্য থেকে জানা যায়, অভিবাসনপ্রত্যাসীরা কুজনিকের সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেই সময় তারা পোলিশ বাহিনীর উপর পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। আর সেই জবাবে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান নিক্ষেপ করে পোলিশ বাহিনী। অভিবাসী এবং পোলিশ বাহিনীর এই সংঘর্ষের কোনো অভিবাসী আহত হয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে একজন পুলিশ আহত হয়েছেন। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে সম্প্রতি একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। ইরাক থেকে আগত শরণার্থীদের বেআইনীভাবে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং এতে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য বেলারুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পোল্যান্ডের। এদিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পোলিশ বাহিনীর অভিবাসীদের উপর হামলা চালানো পুরোপুরি বেআইনী। এতে তারা শুধু অন্যায় করেনি, অমানবিক কাজও করেছে। গত সপ্তাহ থেকেই দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন হাজার হাজার অভিবাসী। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড সরকার। কিন্তু তীব্র এবং ঠান্ডায় অভিবাসপ্রত্যাসীদের অবস্থা নাজেহাল। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে কোনোরকমে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করে সেখানে অবস্থান করছেন তারা। সীমান্তের ওই এলাকায় নেই খাবার, এমনকি প্রয়োজনীয় পানিরও সংকট রয়েছে।