
নন্দন নিউজ ডেস্ক: বেইজিংয়ে যৌথভাবে মহাকাশ আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করেছে চীন-রাশিয়া। বিশ্বব্যপী বিমান চলাচলের জন্য আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিষেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে দেশ দুইটি এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) চীনের আবহাওয়া প্রশাসন (সিএমএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিএমএ-র উপ-পরিচালক ইউ রুকং বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে অংশ নিতে এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের জন্য রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে চীন মহাকাশ আবহাওয়া বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে তার আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার করবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আশা করা যায় চীন-রাশিয়া উভয় পক্ষ ডেটা ভাগ করে নেওয়া, পণ্য এককীকরণ এবং পূর্বাভাস যাচাইকরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবে। যেন বিশ্বব্যপী বেসামরিক বিমান চলাচলে সঠিক এবং ব্যবহারিক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করা যায়। স্যাটেলাইট অপারেশন, মানব স্বাস্থ্য এবং বিশেষ করে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ও যোগাযোগ, অবস্থান এবং ট্র্যাকিংয়ের মতো উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, মহাকাশের আবহাওয়ার কারণে এভিওনিক্সের নির্ভরযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জাতীয় স্তরের মহাকাশ আবহাওয়া অপারেশনাল মেকানিজমের মূল কাঠামো তৈরি করেছে। যেখানে সৌর-স্থলীয় এবং স্থানিক কার্যাবলির পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে। সেই সাথে দেশটির দীর্ঘ, মাঝারি এবং স্বল্পমেয়াদী পূর্বাভাস করার ক্ষমতা রয়েছে। সিএমএ ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে মহাকাশ আবহাওয়া পরীক্ষা শুরু করে। ২০০২ সালে, দেশটি ন্যাশনাল স্পেস ওয়েদার মনিটরিং এবং আর্লি ওয়ার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয় যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৪ সালে চালু করা হয়েছিল। ২০১২ সালে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহাকাশ আবহাওয়া পরিষেবার উন্নয়নের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। চীন এবং রাশিয়া যৌথভাবে ২০১৮ সালে আঞ্চলিক মহাকাশ আবহাওয়া কেন্দ্রের জন্য আবেদন করেছিল সেটি তা ২০২০ সালে সিআরসি কেন্দ্র অনুমোদন পেয়েছিল।