
নন্দন নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে ধস নেমেছে বিভিন্ন দেশের পর্যটন খাতে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুসারে অতিমারির সময়ে এশিয়ার শুধুমাত্র ৫টি দেশ থেকেই পর্যটন খাতে চাকরিচ্যুত হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন কর্মচারী। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই এবং মঙ্গোলিয়া। দেশগুলোতে পর্যটন খাতে চাকরিচ্যুত কর্মচারীর পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতিসংঘের এজেন্সি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য শিল্পের তুলনায় চার গুণ বেশি। এছাড়াও চাকরিচ্যুত করায় নারীদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (আইএলও) আঞ্চলিক পরিচালক চিহোকো আসাদা-মিয়াকাওয়া বলেছেন, এই অঞ্চলগুলোর পর্যটনের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব ‘বিপর্যয়ের থেকে কম কিছু নয়’।
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই অঞ্চলগুলোতে টিকা গ্রহণের উপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে সীমানাগুলো পুনরায় খোলার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে পর্যটন সম্পর্কিত সেক্টরে চাকরি এবং কাজের সময় তাদের প্রাক –সংকটের সংখ্যার নীচে থাকবে।
এদিকে ব্রুনাইয়ে পর্যটন সম্পর্কিত কর্মসংস্থানের পরিমাণ ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফিলিপাইনে ২৮ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ১৮ শতাংশ এবং মঙ্গোলিয়াতে ১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য অনুসারে মহামারির পূর্বে ২০১৯ সালে ২৯১ মিলিয়ন পর্যটক এশিয়ার দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছে যা অর্থনীতিতে ৮৭৫ মিলিয়ন ডলারের অধিক অবদান রেখেছে।
এদিকে ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের এশিয়ার সিনিয়র অর্থনীতিবিদ গ্যারেথ লেদার বলেছেন, পর্যটন খাতের ধস নামাতে দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে ভারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লেদার বলেন, ‘সংকটের পূর্বে থাইল্যান্ড, হংকং, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের পর্যটন খাতের জিডিপির পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ ছিল। কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে দেশগুলোতে পর্যটকদের তেমন কোন আগমন ঘটেনি’।
আইএলও এর একজন সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং প্রতিবেদক সারা এল্ডার বলেছেন, সংকট এবং পূর্বের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা পর্যটন-নির্ভর দেশগুলিকে তাদের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার উপায়গুলিকে বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।