
নন্দন নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনের হুতি সশস্ত্র জেদ্দাসহ সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি শহরে ১৪টি ড্রোন হামলার দাবি করেছে। এই হামলার পর শনিবার (২০ নভেম্বর) ইয়েমেনের হুতি বাহিনী ১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট পাল্টা হামলা করেছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, জেদ্দায় আরামকো’র তেল পরিশোধনাগার সহ জেদ্দা, আভা, জিজান, এবং রিয়াদে তাড়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সেই সাথে তিনি বলেছেন, সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন দিন দিন তীব্র হতে থাকায় তার জবাব দিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইয়েমেনে অব্যহতভাবে যে অপরাধ এবং দখলদারিত্ব যেভাবে সৌদি রজায় রেখেছে তার জবাবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
এদিকে ড্রোন হামলার বিষয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য না এলেও সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ইয়েমেন জোটের এমন অভিযানেরাজধানীর সানায় অস্ত্রের ডিপো, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যব্যস্থা এবং ড্রোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাদা এবং মারিব প্রদেশ। ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী সৌদির ভুখন্ডে এর আগেও রকেট এবং ড্রোন হামলার ঘোষণা দেয়। তাদের মতে এটি সৌদির আক্রমণের প্রতিক্রিয়া।
ইয়েমেনের পলিসি সেন্টারের কর্মকর্তা রাইমান আল হামদানি গণমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ইয়েমেনের যুদ্ধে অব্যাহতভাবে অর্থ বিনিয়োগ করতে আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না সৌদি আরব। বরং তারা তাদের সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার জুন্ত অধিক অর্থ বিনিয়োগ করছে। তাই হুতিরা এমন হামলা চালায়। সেই সাথে তারা দাবি করে বলে, এমন ঘটনা তাদের জন্য ভালো। কেননা এর মাধ্যমে সৌদিকে দূর্বল মনে হচ্ছে। সেই সাথে মনে হচ্ছে এই যুদ্ধের নিয়ন্ত্রক এখন হুতিরা।
২০১৪ সালে ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ হুতিরা দখল করা পর নানান সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খলার দ্বারা বেষ্টিত দেশটি। ২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট আঞ্চচলিক লাভ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিধ্বংসী বিমান অভিযান শুরু করলে সংকট আরও বেড়ে যায়। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের তথ্য অনুসারে, তাদের সংঘাতে ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।