
নন্দন নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়-ফিফার দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে বিস্তর আলোচনা। বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াদের একহাত নিলেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার মতে, বৈশ্বিক আসরটি দুই বছর পরপর আয়োজনের বিরোধিতা যারা করছে তারা আসলে পরিবর্তন নিয়ে ভীত এবং নিজেদের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত।
সাবেক আর্সেনাল কোচ ও ফিফার হেড অব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট আর্সেন ভেঙ্গার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবেই বলে আসছেন দুই বছর বিরতিতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে। তুলে ধরছেন এর সুযোগ-সুবিধা এবং বিশ্ব ফুটবলে এর সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাবের দিকটি।
ফুটবলার, কোচ, সাবেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সরাসরি এর বিরোধিতা জানিয়ে আসছে বেশ কিছু কনফেডারেশন, বিশেষ করে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা। তাদের শঙ্কা, ঘন ঘন বিশ্বকাপ আয়োজন করলে আবেদন হারাবে প্রতিযোগিতাটি।
অবশ্য ব্রাজিলের ‘দা ফেনোমেনন’ রোনালদোসহ সাবেক কয়েকজন ফুটবলার ফিফার ভাবনার পক্ষেও মত দিয়েছেন।
কায়রোতে শুক্রবার কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের কংগ্রেসে অংশ নেন ইনফান্তিনো। ধারণা করা হচ্ছে, আফ্রিকান দেশগুলো প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানাবে।
ওই কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা কনফেডারেশনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইনফান্তিনো। বলেন, ফুটবল দুনিয়ায় বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে আছে তারা আর পরিবর্তন হলে তাদের অবস্থান নড়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই সায় দিচ্ছে না প্রভাবশালী কনফেডারেশনগুলো।
“শীর্ষে যারা আছে তারাই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও কোনোরকম সংস্কার ও পরিবর্তন হওয়ার সময় এমনটাই দেখা যায়। যারা শীর্ষে থাকে তারা কোনো পরিবর্তন করতে চায় না, কারণ তারা শীর্ষে আছে।”
“তারা ভয় পায় এটা ভেবে যে কোনো পরিবর্তন হলে তাদের নেতৃত্ব ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।”
ইনফান্তিনো মনে করেন, স্বল্প বিরতিতে বিশ্বকাপ আয়োজন শীর্ষ পর্যায়ের বাইরে থাকা দেশগুলোকে নিজেদের মেলে ধরার আরও বেশি সুযোগ করে দেবে।
“শীর্ষ পর্যায়ে ওঠার পথে তারা দারুণ সব সাফল্য পেয়েছে, এজন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের এত এত অর্জন চমৎকার বিষয় এবং তারা সবার জন্য উদাহরণস্বরূপ।”
“কিন্তু একই সঙ্গে আমরা অন্যদের জন্য (শীর্ষে ওঠার) দরজা তো বন্ধ করে দিতে পারি না। লড়াই উন্মুক্ত রাখতে হবে, অন্যদের সুযোগ দিতে হবে।”