
নন্দন নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান দখলের পর তালেবান নেতারা দেশটি নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তালেবান নেতারা ঘোষণা দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে হত্যা করেছে তালেবান। যদিও তালেবানের এক মুখপাত্র এমন প্রতিশোধমূলত কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছেন। এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের তৎকালীন পুলিশ ও সেনাদের টার্গেট করে হত্যা ও গুম করেছে তালেবানের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তালেবানের সিনিয়র নেতারা স্থানীয় কমান্ডারদের বাধা দেননি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ, তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব আফগান পুলিশ ও সেনাদের হত্যার ক্ষেত্রে স্থানীয় কমান্ডারদের হত্যাকাণ্ড মেনে নিয়েছেন ও অনুমোদন দিয়েছেন। গত ১৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এরপর তালেবান প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দখল নেয়। রাজধানী কাবুল দখলের পর তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, যারা সরকারের পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা বিভিন্ন প্রদেশেও কাজ করেছেন, তারা তালেবান সরকারের আমলে নিরাপদে থাকবেন। কিন্তু মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গজনি, হেলমান্দ, কুন্দজ ও কান্দাহার প্রদেশে শতাধিক মানুষকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছে তালেবান। নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আরও বলছে, ক্ষমতা নেওয়ার পর তালেবান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে নিবন্ধন করুন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, তা সংগ্রহ করুন বলে আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো। আত্মসমর্পণ করে নিবন্ধনের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অনেকে সেখানে গুম হয়েছেন বা তাদের হত্যা করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান তাদের পূর্ববর্তী সরকারের বিভিন্ন নথি ধরে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের খুঁজে বের করে হত্যা অথবা গুম করেছে।