এশিয়াবিশ্ব

অস্ত্রবিরতির পর দিনই পাকিস্তানি পুলিশকে হত্যা করল টিটিপি

নন্দন নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল টিটিপি বা পাকিস্তান তালেবান। কিন্তু বৃহস্পতিবার সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করেনি দাবি করে অস্ত্রবিরতি থেকে সরে আসে তারা। এর পরদিনই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি পুলিশকে হত্যা করল  টিটিপি।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানে দেশটির পুলিশ পোলিও টিকাদানকারী টিমকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল। কিন্তু তেহরিক-ই তালেবান (টিটিপি) সদস্যরা নিরপত্তা দেওয়া পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

হামলার পর তেহরিক-ই তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেন।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তানক জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রদেশটিতে ৬৫ লাখ শিশুকে পোলিও রোগের টিকা দিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন হামলার এই ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদ আহমেদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে এসে পোলিও টিমকে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হন। মারাত্মক আহত হন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।

গত নভেম্বর মাসে আফগানিস্তান তালেবানের মধ্যস্থতায় টিটিপি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। চুক্তিতে টিটিপি তাদের ১০০ সদস্যকে মুক্তি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়। কিন্তু টিটিপির দাবি পাকিস্তান সরকার তাদের সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। ফলে চুক্তি সমাপ্তের ঘোষণা দেয় তারা।

তবে পাকিস্তান সরকার টিটিপির অস্ত্রবিরতি সমাপ্তি কিংবা পুলিশের ওপর হামলা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

২০০৭ সালে তেহরিক-ই তালেবান বা টিটিপি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী, বেসামরিক নাগরিক, রাজনীতিবিদদের ওপর বড় ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা চালায় তারা। পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে টিটিপি আফগানিস্তানের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

বর্তমান আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় রয়েছে। তালেবানের সঙ্গে পাক সরকারের সম্পর্ক বেশ ভালো। বিশ্লেষকরা বলছেন- আফগানিস্তানের তালেবান, পাকিস্তান সরকারকে তেহরিক-ই তালেবান নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সম্পর্কিত নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button