
নন্দন নিউজ ডেস্ক: দিনে দিনে অর্থনৈতিভাবে আরো শক্তিশালী হচ্ছে চীন। সঙ্গে বাড়ছে তাদের সামরিক শক্তি। চীনের এমন আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে একজোট হয়েছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও খিসিদা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি পারষ্পরিক সহায়তা চুক্তি নামে এক ঐতিহিাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই চুক্তি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রাখবে। চীন এই অঞ্চলেই তাদের আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ।
এর আগে জাপান কোনো দেশের সঙ্গে এমন চুক্তি করেছিল ১৯৬০ সালে। সেবার তারা চুক্তি করে আমেরিকার সঙ্গে। এবার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই চুক্তিটিকে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে বলেন, যে অনিশ্চয়তায় আমরা বাস করছি সেটি মোকাবেলা করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
এক বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা করার পর দুই দেশ এই চুক্তি করতে সমর্থ হয়। এর মাধ্যমে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান তাদের সৈন্যদের মোতায়েন করতে পারবে। যৌথ মহড়ার জন্য অস্ত্রশস্ত্র পরিবহণে যে সকল বাধা ছিল সেগুলো দূর হবে ও মানবিক কাজে দুই দেশের সেনাদের অংশগ্রহণ সহজ হবে।
অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ম্যালকম ডেভিস বলেছেন, বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান যুদ্ধ-বিগ্রহ বা সামরিক অভিযানে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তারা তাদের নীতি থেকে সরে আসছে। কারণ এখন জাপান বুঝতে পারছে চীন তাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
স্কাই নিউজকে ম্যালকম ডেভিস বলেন, জাপান ও চীনের মধ্যে আঞ্চলিক বিবাদ রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি, চীন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাইওয়ানের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
২০২০ সালে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মিলে সামরিক জোট কোয়াডকে পুনরায় জীবিত করে। ২০০৭ সালে এটি গঠন করা হলেও চীনের আপত্তির মুখে এর কার্যক্রম বন্ধ ছিল । কিন্তু ২০২০ সালে আবার কোয়াড যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। এখন জাপান ও অস্ট্রেলিয়া আলাদাভাবে প্রতিরক্ষা চুক্তি করল।