ইরান চার নাগরিককে মুক্তি না দিলে কোনো চুক্তি নয়: যুক্তরাষ্ট্র

নন্দন নিউজ ডেস্ক: ইরান ও বিশ্বের বড় পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার মত দেশগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালে হয় পারমাণবিক চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান পরাশক্তিদের কথা দেয় তারা তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দেবে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন।
তবে গত বছর থেকে আবার ইরানের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানও বেশ আগ্রহী নতুন করে চুক্তি করতে। কারণ এতে করে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাবে।
তবে ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত রবার্ট মেলি জানিয়েছেন, নতুন চুক্তি হবে না যতক্ষণ না ইরান যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিককে মুক্তি দিচ্ছে। গুপ্তচরগিরি ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আমেরিকার চার নাগরিককে নিজ দেশে আটকে রেখেছে ইরান।
রবার্ট মেলি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, পারমাণবিক চুক্তি ও বন্দিদের বিষয়টি আলাদা। কিন্তু যেখানে চারজন নিরপরাধ আমেরিকান ইরানের কারাগারে বন্দি আছে, তখন তারা ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে পারেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আমেরিকার নাগরিকদের আটক করেছে। তবে ইরান প্রতিবারই এমন দাবি প্রত্যাখান করেছে।
এদিকে ২০১৫ সালে হওয়া চুক্তিতে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
কিন্তু হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তিটি থেকে সরে যায়। বিষয়টি নিয়ে ইরান বেশ ক্ষেপে যায়।