৮৫০০ সেনাকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র

নন্দন নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মোতায়েনের জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার সেনাকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এমনটাই বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এ অভিযান চালানোর জন্য ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর এ অভিযোগ অস্বীকার করছে মস্কো।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে একটি সম্মিলিত কৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে কাজ করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। এ প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ইউরোপের মিত্রদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে সেনা মোতায়েন করা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এটা তখনই হবে, যখন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স সক্রিয় করার সিদ্ধান্তে নেবে কিংবা অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে।
তবে নিজ থেকে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই বলে জানান পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।
ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ কিছু ন্যাটো সদস্যদেশ পূর্ব ইউরোপে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের জন্য অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিমান ও রণতরি পাঠানোর পরিকল্পনা বা বিবেচনা করছে বলে জানায় বিবিসি।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী প্রায় ৯০ টন অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে সেগুলো ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে গতকালের ভিডিও কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছাড়াও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা, ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতা উরসুলা ভন ডার লেন ও চার্লস মাইকেল ভিডিও কলে ছিলেন।
ভিডিও কলের পরপরই বাইডেন বলেন, ‘আমি একটি খুবই ভালো বৈঠক করলাম, যেখানে ইউরোপের সব নেতা আলোচিত বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।’
ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই সামরিক জোট তার মিত্রদের রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের মিত্রদের রক্ষায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি এ পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় তারা সর্বদা প্রস্তুত।
রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের সব কর্মীর পরিবারকে দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া এই মুহূর্তে রাশিয়া ভ্রমণ না করতে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যও কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে জাপান।