দ্বিতীয় মেয়াদে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক হচ্ছেন গেব্রেয়াসুস

নন্দন নিউজ ডেস্ক: তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক হতে যাচ্ছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার নেতৃত্বসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে গেব্রেয়াসুসকে মনোনীত করে নির্বাহী বোর্ড।
আর কোনো প্রার্থী না থাকায় গেব্রেয়াসুসের দ্বিতীয় মেয়াদে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বেছে নিতে আগামী মে মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের ভোট দিয়ে একজনকে মহাপরিচালক হিসেবে বেছে নেন সংস্থার সদস্যরা।
মহাপরিচালক প্রার্থী মনোনীত করার জন্য গতকাল ডব্লিউএইচওর নির্বাহী বোর্ডের সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নেন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হওয়া এই ভোটে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে গেব্রেয়াসুসের মনোনয়ন অনুমোদন পায়।
ডব্লিউএইচওর প্রধান হিসেবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন গেব্রেয়াসুস।
দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য একক প্রার্থী হিসেবে গতকাল মনোনয়ন পাওয়ার পর ডব্লিউএইচওর নির্বাহী বোর্ডের প্রতি গেব্রেয়াসুস কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রথম পাঁচ বছরের মেয়াদটি চ্যালেঞ্জের ও কঠিন ছিল। এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুযোগকে অত্যন্ত সম্মানজনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারি শুরুর পর ৫৬ বছর বয়সী গেব্রেয়াসুস যেভাবে ডব্লিউএইচওকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার জন্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা নিশ্চিত করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য গেব্রেয়াসুস প্রশংসিত।
তবে নিজ দেশ ইথিওপিয়ার সরকার গেব্রেয়াসুসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। দেশটির তাইগ্রে অঞ্চলে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাতে সৃষ্ট মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর করা এক মন্তব্যের সমালোচনা করেছে ইথিওপিয়া সরকার। সেখানকার পরিস্থিতিকে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। অভিযোগ করেছিলেন, ইথিওপিয়া সরকার অসহায় মানুষের কাছে ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না।