
নন্দন নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে সাত বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে এক পক্ষে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ও ইয়েমেন সরকার। অপর পক্ষে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। ২০২০ সালে হুতিদের নিয়োগ দেওয়া প্রায় দেড় হাজার শিশুযোদ্ধা নিহত হয়। পরের বছর আরও শত শত শিশুযোদ্ধা প্রাণ হারায়। এই তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা এখনো শিশুদের নিয়োগ দিচ্ছে। হুতিরা বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্প তৈরি ও মসজিদ ব্যবহার করে তাঁদের মতাদর্শ প্রচার করছেন।
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সেনাদের বিমান হামলায় এখনো বহু বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির আজ সোমবারের অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, ইয়েমেনে ২০১৫ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ১০ হাজারের বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
শিশু ছাড়াও সশস্ত্র এই লড়াইয়ের কারণে লাখো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মারা গেছেন। আরও লাখো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন এবং চরম দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন।
৩০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলছে, হুতি বিদ্রোহীদের নিয়োগ দেওয়া ১ হাজার ৪০৬ শিশুর একটি তালিকা পেয়েছে তারা। এসব শিশু ২০২০ সালে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আরও ৫৬২ শিশু যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারায়।
চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল আরও বলেছে, এসব শিশুকে হুতিদের স্লোগান ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘ইহুদিদের অভিসম্পাত’, ‘ইসলামের জয় হোক’ স্লোগান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি শিবিরে সাত বছরের এক শিশুকে অস্ত্র পরিষ্কার করা ও রকেট এড়িয়ে চলা শেখাতে দেখা যায়।
স্কুল, শিবির ও মসজিদ ব্যবহার করে শিশুদের নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকা ও যাঁরা এ কাজ করবেন তাঁদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্যানেল।