
রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত আক্রমণ শুরু করেছে যা ইউরোপের শান্তি ভঙ্গ করছে। তারা শহর ও ঘাঁটিতে বিমান হামলা বা গোলাবর্ষণ করেছে। ইউক্রেন সরকার বলেছে, রাশিয়ার ট্যাংক ও সৈন্যরা একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ হিসেবে সীমান্তে নিয়োজিত হয়েছিল। এর ফলে ভূ- রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নতুন রূপ নিতে পারে । যার পরিণতি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে ইউক্রেন সরকার।১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর এটি মস্কোর সবচেয়ে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় বাহিনী কিয়েভ থেকে অদূরে একটি কৌশলগত বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্য সৈন্যদের সাথে লড়াই করছে। এদিকে বেসামরিক লোকেরা দেশ ত্যাগের জন্য ট্রেন ও গাড়িতে ভিড় করছে। এ প্রসঙ্গে ন্যাটো জোটের প্রধান বলেন, এ যুদ্ধের নৃশংস কাজ ইউরোপের শান্তি ভেঙে দিয়েছে। এ যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারকে ইতিমধ্যে কাঁপিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া, এই যুদ্ধ ব্যাপক হতাহতের কারণ হতে পারে এবং যুদ্ধপরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ক্ষুন্ন করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র সিটিভি