
নন্দন নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ, ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে এবার আন্তর্জাতিক এই আয়োজনের থিম বাংলাদেশ। করোনার কারণে বই মেলা এবার অনলাইনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বিশ্ব দরবারে।
কলকাতা বই মেলার পরতে-পরতে এবার বাংলাদেশের চিহ্ন। বই মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণকে থিম করে। শুধু তাই নয়, মেলার প্রধান তিনটি গেট তৈরি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রচিত তিনটি বইয়ের থিম নিয়ে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যৌথভাবে ৪৫তম কলকাতা বই মেলার উদ্বোধন করবেন। থাকবেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিকরাও। গত বছর করোনার কারণে বই মেলা করা সম্ভব হয়নি, তাই এবারের মেলায় পাঠকদের বাড়তি উৎসাহ থাকবে। এছাড়াও নিজস্ব ওয়েব সাইটে বই মেলা সম্প্রচার করা হবে সরাসরি। যাতে বাড়িতে বসেই মেলা দেখতে পারেন। যারা অনলাইনে কলকাতা বই মেলা দেখবেন কিংবা সশরীরে যাবেন; সবার চোখেই ধরা পড়বে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠবাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি।
এদিকে, দিনরাত জেগে বই মেলায় স্টল তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার নির্মাণ শ্রমিক। ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই স্টল প্রস্তুত হবে বলে আশা তাদের। এবারে মেলায় ৬০০টির বেশি স্টল বসবে।
বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ২০টি দেশ কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলায় অংশ নিচ্ছে। ১৩ মার্চ মেলা শেষ হলেও ৩ এবং ৪ মার্চ কলকাতা বই মেলায় পালিত হবে বাংলাদেশ দিবস।